May 24, 2025
সময়ের আলো
কূটনৈতিক চ্যানেলে সমাধান চায় বিকেএমইএ
স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে ভারত সরকার যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, সেটি কমপক্ষে তিন মাস স্থগিত করার উদ্যোগ নিতে সরকারের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন(বিকেএমইএ)। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানকে দেওয়া এক চিঠিতে এই অনুরোধ করেছেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। যেসব পণ্য রফতানির প্রক্রিয়ায় রয়েছে, সেগুলোকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখার ব্যবস্থা করতেও সরকারকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
আজকের পত্রিকা
বস্ত্রে কর দ্বিগুণ, ব্যক্তিও চাপে
চাপে থাকা ব্যবসার কাঁধে এবার আরও ভারী হচ্ছে করের বোঝা। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে হাঁসফাঁস করছে শিল্প, অন্যদিকে কম মুনাফায় টিকে থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপরও বসছে অতিরিক্ত করের খড়্গ। আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কর ছাড়ের পথ থেকে সরে এসে রাজস্ব সংগ্রহের কঠিন কৌশল নিচ্ছে সরকার; যার প্রথম আঘাত যাচ্ছে সরাসরি টেক্সটাইল ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ওপর।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চূড়ান্ত করতে চলেছে একগুচ্ছ প্রস্তাব; যার আওতায় টেক্সটাইল খাতের কর রেয়াত সুবিধা উঠে যাচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাড়ছে ন্যূনতম টার্নওভার করের হার, আর ব্যক্তির ক্ষেত্রেও এই কর চার গুণ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবও থাকছে। নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, রাজস্ব ঘাটতি পোষাতে এসব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হলেও শিল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, এটি দেশের উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী অর্থনীতির জন্য একধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে।
The Daily Sun
Business leaders face unofficial hostilities amid worsening economic crisis
Business owners and entrepreneurs in Bangladesh are facing what many describe as an "undeclared war"—with harassment, intimidation, and financial targeting on the rise. Major industrialists are seeing their bank accounts frozen, being summoned by the Anti-Corruption Commission (ACC), and, in some cases, facing mob attacks at their homes and company premises. Extortion demands are being issued under threat of violence, while lawsuits linked to stock transactions are causing the value of shares—both corporate and individual—to plummet, adversely impacting general investors.
আজকের পত্রিকা
বড় ধাক্কার মুখে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো, জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন আমদানি শুল্কের ফলে অনেক উন্নয়নশীল দেশের বাণিজ্য খরচ বেশ বাড়বে। এ কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বৈষম্য বাড়ার ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলো। এ সময় উন্নয়নশীল দেশের রপ্তানি সম্ভাবনা কমবে পোশাক ও কৃষি খাতে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।প্রায় এক শতাব্দী ধরে অপরিবর্তিত বৈশ্বিক বাণিজ্যব্যবস্থায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ট্রাম্পের শুল্ক আরোপে বড় ধাক্কার মুখোমুখি হয়েছে। তবে শুল্ক বাস্তবায়নে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ অর্থনীতির পালে কিছুটা হাওয়া দিলেও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাড প্রকাশিত ‘স্প্যারিং দ্য ভালনারেবল: দ্য কস্ট অব নিউ ট্যারিফ বার্ডেনস’ প্রতিবেদনে এমনটি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইত্তেফাক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে ১০০ পণ্যে শুল্ক কমাতে পারে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে প্রায় ১১০০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো আমদানি সহজ করা, ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।সরকার ইতিমধ্যে ১৬১টি পণ্যের একটি তালিকা করেছে, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হতে পারে। এর মধ্যে ১০০টি পণ্যের ওপর শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেওয়ার চিন্তা চলছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে—বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, ম্যান মেড ফাইবার, উল, বর্জ্য পানি পরিশোধনের যন্ত্র (ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট), ডায়ালাইসিস ফিল্টার, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও কিছু অস্ত্র। এসব পণ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপিত আছে। তবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী এই শুল্ক বাতিল হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
কালের কন্ঠ
অঘোষিত যুদ্ধের মুখে ব্যবসায়ীরা
অঘোষিত যুদ্ধের মুখে পড়েছেন দেশের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা। নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। বড় ব্যবসায়ীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে রাখা হচ্ছে। দুদকে তলব করা হচ্ছে।মব সৃষ্টির মাধ্যমে কোনো কোনো ব্যবসায়ীর বাসা ও কোম্পানিতে হামলা চালানো হচ্ছে। হামলার ভয় দেখিয়ে অনেক ব্যবসায়ীর কাছে বড় রকমের চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। শেয়ারবাজারে ব্যক্তিগত ও কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে মামলা করা হচ্ছে। ফলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাচ্ছে।এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এখানেই শেষ নয়, কোনো কোনো ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলার মতো মিথ্যা অভিযোগেও ফাঁসানো হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, ব্যবসায়ীরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।
খবরের কাগজ
অনুমোদন পেল ৯ অর্থনৈতিক অঞ্চল
সরকার নয়টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। বাকিগুলো সরকারি পর্যায়ে। সম্প্রতি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিচালনা পর্ষদের ৮ম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল আগেই বিভিন্ন নীতিগত বা প্রাথমিক পর্যায়ে অনুমোদন পেয়েছিল। এবার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেল।