July 09, 2025
বণিক বার্তা
পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিজিএমইএর বৈঠক
পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনের দপ্তরে গতকাল আয়োজিত সভায় সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সাভার এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মঈন খান এবং বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বাধীন বোর্ড সদস্যরা অংশ নেন।সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইনামুল হক খান (বাবলু), সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী। এছাড়া পরিচালকদের মধ্যে ছিলেন শাহ রাঈদ চৌধুরী, ফয়সাল সামাদ, মো. হাসিব উদ্দিন, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, নাফিস-উদ-দৌলা, সুমাইয়া ইসলাম, ফাহিমা আক্তার, মজুমদার আরিফুর রহমান, শেখ হোসেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজ, আসেফ কামাল পাশা, ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী, রুমানা রশীদ, মোহাম্মদ সোহেল এবং সামিহা আজিমসহ বিভিন্ন পোশাক কারখানার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের কমান্ডার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।
প্রথমআলো
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি নিয়ে ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। আগামী ১ আগস্ট এটি কার্যকর হলে দেশের রপ্তানি খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পে প্রভাব হবে ভয়াবহ। পণ্য রপ্তানি কমে যাবে। যেসব কারখানার মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ৫০ শতাংশ বা তার বেশি যুক্তরাষ্ট্রে যায়, সেসব প্রতিষ্ঠান বেশি বিপদে পড়বে। আবার যেসব কারখানা দেশটিতে কম রপ্তানি করে, সেগুলো কম ঝুঁকিতে থাকবে।যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের একক বড় বাজার। সে জন্য আমরা শুরু থেকে সরকারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষির অনুরোধ জানিয়েছি। এ জন্য আমরা আমাদের তরফ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত ছিলাম। তবে পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষি নিয়ে ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে আমাদের শুধু আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ আমরা জিজ্ঞাসা করেছি, দেশের কোন স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার কথা বলা হচ্ছে। তবে সে বিষয়ে কোনো উত্তর আমাদের দেওয়া হয়নি।
সমকাল
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখল বাংলাদেশ
গত বছর আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর প্রায় দুই মাস টানা শ্রমিক অসন্তোষে জর্জরিত ছিল তৈরি পোশাকশিল্প। কারখানায় গ্যাস সংকটও ছিল প্রকট। এ রকম আরও কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্যেই বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ ২০২৪’ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখার কৃতিত্ব দেখাল বাংলাদেশ। পোশাক রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু সমকালকে বলেন, চলতি প্রবাহ এবং যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য প্রবেশে নতুন শুল্কের কারণে আগামীতে ভিয়েতনামের কাছে দ্বিতীয় রপ্তানিকারকের মর্যাদা হয়তো হারাতে হবে। কারণ প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের পোশাকের তুলনায় অন্তত ১৫ শতাংশ বেশি শুল্ক দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের পোশাকে।
সময়ের আলো
ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ, পোশাক খাতে বড় ঝুঁকি: বিজিএমইএ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হলে দেশের পোশাক খাতের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। বুধবার ( ৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর তিনি এ কথা বলেন। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম, এই ট্যারিফ হার দেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করবে। তবে এখনো আমরা আশাবাদী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনেছি, এ বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো আলোচনা চলছে। ১ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।”
The Daily Star
Bangladesh retains 2nd spot in global apparel exports
Bangladesh maintained its position as the world's second‑largest apparel exporter in 2024, behind only China, according to World Trade Organization (WTO) data.Anwar‑Ul‑Alam Chowdhury, former president of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), said export growth had been good so far. But growth may turn unsustainable for Bangladesh due to a recent hike in US tariffs from around 16 percent to 35 percent, he said.
দৈনিক ইত্তেফাক
৩৫ শতাংশ মার্কিন শুল্ক বহাল থাকলে রপ্তানি খাতে বিপর্যয় নামবে: রুবানা হক
৩৫ শতাংশ মার্কিন শুল্ক বহাল থাকলে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনাম যখন ২০ শতাংশ শুল্কে পোশাক রপ্তানি করবে, তখন আমাদের দিতে হবে ৩৫ শতাংশ। আর আমরা এখনও নিশ্চিত না আগের যে ১৬ শতাংশ শুল্ক রয়েছে, সেটিও যুক্ত হবে কিনা। যদি সেটিও যুক্ত হয়, তাহলে তো পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ।’রুবানা হক বলেন, ‘সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কী ধরনের আলোচনা করছে বা আদৌ করছে কি না, আমরা কিছুই জানি না। অথচ এটা দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি খাতের ভবিষ্যতের প্রশ্ন।’ তবে হতাশার মধ্যেও আশার সুর রেখেছেন তিনি। রুবানা বলেন, ‘আগস্ট মাস পর্যন্ত আমাদের সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্কহার পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। শুনেছি, সরকারের নীতি নির্ধারকরা যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন কিংবা সেখানে আছেন। ফলে আমরা আপাতত অপেক্ষা করছি।’
দেশ রুপান্তর
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমার শঙ্কা
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় একক ক্রেতা। এ শুল্কের কারণে তৈরি পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য মারাত্মক আঘাত। অভ্যন্তরীণ সমস্যার সঙ্গে এখন আন্তর্জাতিক সমস্যা যোগ হচ্ছে। তবে সরকার আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে, তারা সমাধানের উদ্যোগ নেবে। তাই বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হলেও দুশ্চিন্তার নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য উপদেষ্টা, বাণিজ্য সচিব ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই। রপ্তানিমুখী শিল্প-মালিকদের সমস্যা ও সুবিধা তাকে জানানো প্রয়োজন। তিনি যখন সময় দেবেন, তখনই তার সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত আছি। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুপরিচিত ও স্বনামধন্য। আশা করি, তার উদ্যোগে সমস্যার সমাধান হবে।’
জাগো নিউজ২৪
মার্কিন শুল্কে ‘ঝুঁকির শঙ্কা’, দ্রুত পদক্ষেপ চান ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়বে। শুল্ক কমাতে বাংলাদেশ সরকারের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা। জানতে চাইলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘এটি পোশাক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা ধারণা করেছিলাম ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে শুল্ক ধার্য হবে।’
সমকাল
যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে আবার শুল্কের অস্বস্তি
প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু গতকাল সমকালকে বলেন, প্রথম দফা শুল্ক আরোপের ঘোষণার পরই সরকারকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। প্রধান উপদেষ্টাকে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তিনি জানান, গতকালের চিঠির পর আবার আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন তারা। বৈঠকে ওয়াশিংটনকে রাজি করাতে লবিস্ট নিয়োগের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা নিজেই যেন সরাসরি সম্পৃক্ত হন, সে ব্যাপারে ফের অনুরোধ জানানো হবে। বিজিএমইএ সভাপতি জানান, শেষ পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক কার্যকর হলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পাবে। বিশেষ করে যেসব কারখানা যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি হারে রপ্তানি করে থাকে। কারণ, খুব শিগগিরই বিকল্প বাজার ধরা সম্ভব নয়। এ ছাড়া ভিয়েতনামের পণ্য বাংলাদেশের চেয়ে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ এগিয়ে থাকবে। সেটাকে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তানের বেলায় কী হারে শুল্ক আরোপ হয়, সেটাও দেখার বিষয়।
bdnews24
Bangladesh weighs next steps as US slaps 35% duty on exports
The Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) has already sought an appointment with the chief advisor to assist the interim government in handling negotiations. “If you add another 35 percent to the current rates, then clearly the negotiations were weak,” said Mahmud Hasan Khan, newly elected president of the BGMEA. He said, “If the new 35 percent was the total instead of being added to existing rates, then I would have said the negotiations were good.” “People look at the result, not the effort. If you play 90 minutes well but concede a goal in the end, no one will care how well you played; you didn’t win, that’s what people will see.”
সময়ের আলো
নবম পদাতিক ডিভিশন-বিজিএমইএ বৈঠক: পোশাক কারখানার নিরাপত্তা চাইলেন শিল্প মালিকরা
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) শিল্পে আইন-শৃঙ্খলাজনিত নানা সমস্যাবলী নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জিওসি নবম পদাতিক ডিভিশন এবং এরিয়া কমান্ডার, সাভার এরিয়া ও বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত বোর্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই দাবি তোলেন ব্যবসায়ীরা। বিজিএমইএ দফতরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিজিএমইএ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। নবম পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান।
The Daily Sun
Swift negotiations urged as US tariff hike threatens export edge
As the United States prepares to impose a steep 35% tariff on Bangladeshi goods from 1 August 2025, trade experts and business leaders are urging Dhaka to engage in urgent, strategic negotiations to avert potentially devastating consequences for the country’s export economy, especially its vital ready-made garments (RMG) sector. Mahmud Hasan Khan, president of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), acknowledged that the higher tariff poses a serious threat to the RMG industry. “We had expected a tariff rate between 10% and 20%, and we anticipated that Chief Adviser Muhammad Yunus would raise this matter with the US government,” he said. Former BGMEA director Mohiuddin Rubel called the US tariff “non-systematic and unfortunate,” expressing concern over job losses and export contraction.
নয়া দিগন্ত
ট্রাম্পের শুল্কে ঝুঁঁকিতে রফতানি খাত
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হয় এমন যেসব পোশাক কারখানার অর্ধেক বা তার বেশি উৎপাদন সেই দেশে যায়, তারা চরম ঝুঁঁকির মুখে পড়বে। অথচ সরকারের সাথে আমাদের দর-কষাকষির প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা কার্যকর করতে। আমাদের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের শুধু বলা হয়েছে, ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে’, কিন্তু কী ধরনের চেষ্টা, তা জানানো হয়নি।’
The Business Standard
35% US tariff to be disastrous for Bangladesh's exports, say economists and exporters
US President Donald Trump's newly announced 35% tariff on Bangladesh will be disastrous for the country's export sector, said Rubana Huq, former president of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA). "If this tariff remains in place, it will be disastrous for Bangladesh's export sector. When Vietnam exports garments at a 20% tariff, we will have to pay 35%. And we are still not certain whether the existing 16% will also be added," she said. "If that is also added, then the situation will be terrible. We don't know anything about whether the government is negotiating or has negotiated with the United States," Rubana added.
The Dhaka Tribune
Major garment producer Bangladesh seeks deal after 35% US tariff
Bangladesh, the world's second-biggest garment manufacturer, holds hope to reduce the 35% tariff that US President Donald Trump said he will impose, the country's top commerce official told AFP on Tuesday. Mahmud Hasan Khan, president of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), called it "a big challenge for the garment sector". "We had expected the tariff imposed on us to be between 10 to 20%," he said, adding he expected Dhaka's interim leader Muhammad Yunus to "raise the issue with the United States".Former BGMEA director Mohiuddin Rubel warned the impact as tariffs stand would be dire. "The new tariffs raise worries about job losses in Bangladesh as the US is its main export market," he said.
আজকের পত্রিকা
বেশি চিন্তা তৈরি পোশাকে, কারখানা বন্ধের শঙ্কা
তৈরি পোশাক কারখানার মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যদি ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক বহাল থাকে, তবে আমাদের পোশাক খাতে শুল্ক ৫০ শতাংশের বেশি হবে। কারণ পাল্টা শুল্ক আরোপের আগে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করত। এটা আমাদের রপ্তানিকে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেবে।’ভিয়েতনাম, ভারতসহ প্রতিযোগী দেশগুলো আমাদের বাজার দখল করে নিতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে মাহমুদ হাসান আরও বলেন, ‘যদি আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চাই, তবে আমাদের পণ্যের দাম কমাতে হবে। আর দাম কমালে কারখানাগুলো লোকসানে পড়বে। এতে দেশের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।’
যুগান্তর
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের অভিমত : বড় ধাক্কা খাবে রপ্তানি খাত
এ বিষয়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান যুগান্তরকে বলেন, এ শুল্কের প্রভাব তৈরি পোশাক শিল্পে ভয়াবহ সংকট দেখা দিতে পারে। আনুমানিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার সরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি ঘটলে অনেক গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ অনেক গার্মেন্ট শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর নির্ভর করে ব্যবসা করছে। তাদের পক্ষে রাতারাতি অন্য বিদেশি ক্রেতার কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, আমেরিকার বাজার সংকুচিত হলে স্বভাবতই যেসব গার্মেন্ট ওই বাজারে ব্যবসা করত তারা কানাডা বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে নজর দেবে। তখন নিজেদের মধ্যে টিকে থাকতে অসম প্রতিযোগিতা শুরু হবে। তিনি বলেন, এর আগে সরকারের তরফ থেকে ভালো ফল পাওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাইনি। সরকারের উচিত, এখনই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করা, প্রয়োজনে লবিস্টও নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। তিনি জানান, এই শুল্কারোপের ফলে শিল্পের ওপর প্রভাব কী হবে তা তুলে ধরতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন বিজিএমইএ নেতারা।বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী বলেন, এ শুল্কের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত বড় ধাক্কা খাবে। এ ধাক্কা সামাল দেয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
দৈনিক আমাদের সময়
বড় ঝুঁকিতে রপ্তানি খাত
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আমাদের সময়কে বলেন, পাল্টা শুল্কারোপে দেশের রপ্তানি খাতে, বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পে ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পণ্য রপ্তানি কমে যাবে। যেসব কারখানার মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ৫০ শতাংশ বা তার বেশি যুক্তরাষ্ট্রে যায়, সেসব প্রতিষ্ঠান বেশি বিপদে পড়বে। তিনি বলেন, বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। সে জন্য আমরা শুরু থেকে সরকারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষির অনুরোধ জানিয়েছি। এ জন্য আমরা আমাদের তরফ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষি নিয়ে ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে আমাদের শুধু আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসা করেছি, দেশের কোন স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার কথা বলা হচ্ছে? কিন্তু কোনো উত্তর আমাদের দেওয়া হয়নি।
বণিক বার্তা
রফতানিতে দ্বিতীয় হলেও প্রবৃদ্ধিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ : মার্কিন শুল্ক কমানো সম্ভব না হলে ভিয়েতনামের চেয়ে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা
জানতে চাইলে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘১২৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও ভিয়েতনাম এরই মধ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক হার নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ মাত্র ৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের প্রধান প্রতিযোগী দেশ চীন, ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে শুল্কের হার কেমন হয় সেটি দেখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শীর্ষ রফতানি গন্তব্য হওয়ায় এ শুল্কের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেবল রফতানি আদেশ হ্রাসের ঝুঁকি নয়, এর প্রভাব কর্মসংস্থান হ্রাস ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কেবল বাণিজ্যেই নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।’
প্রথমআলো
২% শুল্ক কমানো হতাশাজনক : মোস্তাফিজুর রহমানসম্মাননীয় ফেলো, সিপিডি
যুক্তরাষ্ট্র গত ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্কের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বাংলাদেশ সরকার এটি নিয়ে আলোচনা শুরু করে। প্রধান উপদেষ্টা এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি লিখলেন। সেখানে আমরা কিছু ছাড় দেওয়ার কথা বললাম। পরবর্তী সময়ে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা কথা বলেছেন। এরপর ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটেও যুক্তরাষ্ট্র সুবিধা পাবে—এমন কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও যেসব অশুল্ক বাধার কথা যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, যেমন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা, মেধাস্বত্ব আইন প্রয়োগ প্রভৃতি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখলাম। প্রায় তিন মাসের আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা শুল্ক ৩৭ শতাংশ থেকে কমে ৩৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ আলাপ-আলোচনায় তেমন কোনো সুবিধা আমরা করতে পারিনি।