August 07, 2025
দেশ রুপান্তর
এখনো দরকষাকষির সুযোগ রয়েছে পাল্টা শুল্ক নিয়ে
দরকষাকষির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। আজ থেকে এই শুল্ক বাস্তবায়ন হলেও এখনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। চুক্তি সই হওয়ার আগে শুল্ক নিয়ে আরও দরকষাকষির সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান।
দৈনিক আমাদের সময়
ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের, মোট ৫০
আগেই ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বুধবার দেশটির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। পাল্টা শুল্কসহ ভারতীয় পণ্যে তাতে শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশ। আজ ভারতের ওপর শুল্ক সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। আজ থেকে ২১ দিন পর এই শুল্ক কার্যকর হবে। মূলত, রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণেই ‘জরিমানা’ হিসেবে এই অতিরিক্ত শুল্ক ভারতের ওপর চাপালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত সপ্তাহের বুধবার ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। তখনই হুমকি দিয়েছিলেন, ভারতের ওপর ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায়’ শুল্ক বৃদ্ধি করবেন তিনি। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায় ভারত। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য দিল্লিকে লক্ষ্যবস্তু বানানো ‘অন্যায় ও অযৌক্তিক’ বলে দাবি করে দেশটি।
The New Age
BGMEA, Amfori to collaborate on sustainability
In a significant move towards sustainable development in Bangladesh’s readymade garment industry, the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association and the global business association Amfori have pledged to collaborate on building a more transparent and efficient supply chain. In this regard, John Stellansson, head of Business Development and Network at Amfori, and BGMEA Acting president Inamul Haq Khan met on Wednesday at the BGMEA Complex in the capital, according to a press release.
কালের কন্ঠ
মার্কিন শুল্ক কমলেও ঝুঁকি কাটেনি রপ্তানি খাতে
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. রেজওয়ান সেলিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নতুন শুল্কে বাংলাদেশ প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও বন্দরের সক্ষমতার অভাব এবং কাস্টমস হয়রানি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বন্দর সক্ষমতার অভাবে পণ্য জাহাজীকরণে লিড টাইমে (পণ্য গন্ত্যবে পৌঁছানোর সময়) বড় ধরনের প্রভাব পড়ে।’ মার্কিন ক্রেতারা তাঁদের ওপর আরোপিত শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা অতিরিক্ত ট্যারিফ খরচ পণ্যের দামে চাপিয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে উৎপাদকদের লাভ কমে যাচ্ছে এবং আদেশ বাতিল হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ জন্য আমাদের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পাশাপাশি দর-কষাকষির সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।’ বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল কালের কণ্ঠকে বলেন, আজ থেকে শুল্ক কার্যকর হলেও এর প্রকৃত চিত্র জানতে আরো দু-এক সপ্তাহ লাগবে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত শুল্কের ফলে ভোক্তার চাহিদা কমবে। আর মার্কিন ক্রেতাদের চাপিয়ে দেওয়া শুল্ক চাপ সামলাতে উদ্যোক্তাদের লাভ কমবে।
প্রথমআলো
পাল্টা শুল্ক কার্যকর, ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আজ বৃহস্পতিবার কার্যকর হচ্ছে। পাল্টা শুল্কারোপের আগে বেশির ভাগ দেশের পণ্যে মোটামুটি একই হারে শুল্ক আদায় করত দেশটি। এখন দেশভেদে আলাদা হারে শুল্ক দিতে হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে প্রতিযোগিতার হিসাবও বদলে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের শীর্ষ পর্যায়ের রপ্তানিকারক এশিয়ান-ডাফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিকারাগুয়া ও হন্ডুরাস আমাদের প্রতিযোগী নয়। আমাদের প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের তুলনায় আমরা আগের মতোই আছি। ভারত ও চীনের চেয়ে এগিয়ে আছি। পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়ার চেয়ে ১ শতাংশ শুল্ক বেশি হলেও পিছিয়ে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যচুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ইথিওপিয়াও এখন আর হুমকি নয়। এক কথায় বলা যায়, ৩৫ শতাংশ নিয়ে আমরা যে শঙ্কায় ছিলাম, তা কেটে গেছে।’
খবরের কাগজ
চীনের উচ্চ শুল্ক, বাংলাদেশে রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বর্তমানে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ খবরের কাগজকে বলেন, ‘পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়াটা বিশাল এক স্বস্তির খবর। প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছাকাছি পাল্টা শুল্কের কারণে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারব।’ তবে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকলেও পোশাকের দাম নিয়ে চাপে পড়ব। এটি মোকাবিলায় এ খাতে সরকারকে নগদ সহায়তা আরও বাড়াতে হবে। তার মতে, চীনে বেশি শুল্ক থাকায় বাংলাদেশের জন্য ভালো হয়েছে। চীন থেকে অনেক কার্যাদেশ সরে আসবে। ওই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শোভন ইসলাম বলেন, ‘আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আশা করছি, পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে চাহিদা কমলেও আমাদের রপ্তানি কমবে না। এর কারণ চীন থেকে ক্রয়াদেশ সরবে।
প্রথমআলো
চীনের হারানো ব্যবসা পাচ্ছে বাংলাদেশ
একাধিক তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রথম আলোকে বলেন, চীনের হারানো ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে আসছে। ৬-৮ মাস ধরে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। পাল্টা শুল্কের কারণে সামনের মৌসুম থেকে আরও বাড়তি ক্রয়াদেশ আসতে পারে। কারণ, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। জানতে চাইলে তুসুকা গ্রুপের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেপ্টেম্বর থেকে আগামী গ্রীষ্মের ক্রয়াদেশ আসতে শুরু করবে। তখন বোঝা যাবে বাড়তি কত ক্রয়াদেশ আসছে। তবে আমরা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছি। মার্কিন ক্রেতাদের পাশাপাশি ইউরোপীয় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয়াদেশও বাড়বে। তার কারণ, ইউরোপীয় অনেক ক্রেতার ১০-১৫ শতাংশ ব্যবসা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তুলা ব্যবহার করতে পারলে আমরা পাল্টা শুল্ক কিছুটা কমাতে পারব। ফলে বর্তমান শুল্ককাঠামো অপরিবর্তিত থাকলে আমাদের ব্যবসার জন্য ভালো সুযোগ তৈরি হবে।’
সারা বাংলা
পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নে কাজ করবে বিজিএমইএ ও অ্যামফরি
দেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বৈশ্বিক ব্যবসায়িক সংগঠন অ্যামফরি। বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খান এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন অ্যামফরি এর হেড অব বিজনেস ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড নেটওয়ার্ক, জন স্টেলান্সন। বৈঠকে পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও নিরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজ করতে একটি সমন্বিত মানদণ্ড তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠকেই দুই সংগঠনের একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
The Daily Star
US reciprocal tariff taking effect tonight
The new 20 percent reciprocal tariff by the United States on Bangladeshi exports to the American market will come into effect tonight, which may open up opportunities for the country's apparel sector as it adapts to evolving global trade dynamics. Rakibul Alam Chowdhury, director of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), said many US buyers rushed shipments before July 31 to avoid the new duty, which caused a surge in exports through Chattogram port. Now, some buyers are proposing to share the additional cost for new orders, he added.
সমকাল
মার্কিন পাল্টা শুল্ক আজ কার্যকর : শেষ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে চাপ
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর আজ বৃহস্পতিবার থেকে। আজ সকাল ১০টার পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে তোলা পণ্যে পাল্টা শুল্কভার কার্যকর হচ্ছে। এ সময়ের আগ পর্যন্ত বন্দর থেকে জাহাজীকরণ পণ্যে ২০ শতাংশ নতুন শুল্ক এড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এ সুবিধা নিতে কয়েকদিন ধরে পণ্য আগাম পৌঁছানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছে বিভিন্ন কারখানা। যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখী পণ্যবোঝাই ট্রাক-লরিকে বন্দরে প্রবেশ এবং পণ্যছাড়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতিদিন ৮০০ কনটেইনার পরিমাণ অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, উৎপাদনের শেষ পর্যায়ে থাকা পণ্যের বড় একটি অংশ ১ আগস্টের আগেই বন্দর থেকে জাহাজীকরণ হয়েছে। কারণ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগের ঘোষণা অনুযায়ী, বাড়তি শুল্কহার ৩৭ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়, যা ১ আগস্ট কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
The Financial Express
RMG export to US records a robust growth in H1 of 2025
Bangladesh's apparel export to the United States, its single-largest market, recorded a robust 25.13-percent growth in the first half of this year. According to US official count, the exports grew both in terms of value and volume in the six months of 2025. Talking to the FE, Shovon Islam, managing director of Sparrow Group, one of the leading exporters to the USA, said America is the largest market that has huge growth potential for Bangladesh. And that's why the reciprocal tariff is important and they pressed for a more competitive tariff rate from the US than other major producers, he said. "As Bangladesh faces additional 20-percent tariff--compared to Vietnam's as much, 20 per cent, and India's 25 per cent--its competitive standing has improved," he said. "If the duty had been higher, the situation could be disastrous," he noted.
The Daily Sun
Bangladesh to double US cotton imports for duty-free access
Bangladesh’s textile manufacturers are aiming to double cotton imports from the United States within the next one year, as part of a strategy to secure duty-free access for apparel in the US market and strengthen bilateral trade ties. Shovon Islam, managing director of Sparrow Group and a former BGMEA director, said his company exports $1.5 million worth of shirts, trousers, women’s tops, and jackets annually to the US. “As US cotton is of better quality, our products will be better too. Although prices will rise, buyers are willing to pay more for quality,” he said, adding that his firm plans to use US cotton exclusively for garments destined for the American market to maximise duty benefits.